Fluency – behind the scenes


আমাদের চোখের সামনে যা ঘটে তাকে যথাযথরূপে বুঝতে হলে আমাদেরকে বুঝতে হবে পর্দার আড়ালে কী ঘটছে। এই পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে আমরা প্রতিদিন কত শত নাটক মঞ্চায়িত হতে দেখি। কিন্তু তার সবগুলিকে কি আমরা যথাযথরূপে বুঝতে পারি বা সংগায়িত করতে পারি? যেমনটা আমরা বুঝতে পারি না, আমরা যখন আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলি তখন আমাদের মগজে এবং চিন্তনে ঠিক কী ঘটছে। যদি ঘটনার আড়ালের এই রহস্যকে আমরা উন্মোচন করতে পারি তবে হয়তো বিদেশি ভাষায় সাবলীল হওয়ার পথে আমরা বেশ এগিয়ে যেতে পারবো।

আমার এই লেখাটি ঘটনার আড়ালের একটা বিষয়কে তুলে আনার ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। এবং অবশ্যই বর্তমান প্রবন্ধে উপস্থাপিত সমস্ত যুক্তি, ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ নিছক আমার ’ধারণা’ বলা যেতে পারে। বিষয়টা নিশ্চিত যুক্তি-তর্কের অবকাশ রাখে।

আমি ছাত্রদের পড়াতে গিয়ে প্রথম থেকেই বোঝার চেষ্টা করেছি- আমরা কিভাবে ভাবি, কিভাবে অন্যের কথা গ্রহণ করি, প্রক্রিয়াকরণ করি এবং ফলাফল বের করি। সেই একই ধারাবাহিকতায় অল্প কিছুদিন হলো আলোচ্য বিষয়টা মাথায ঘুরছে। এটাকে প্রমাণিত কিছু আমি নিশ্চয় বলবো না। তবে ‍চিন্তাশীলদের চিন্তার খোরাক যোগাবে বলেই বিশ্বাস রাখি।

বলছিলাম মূলত- বিদেশি ভাষা ইংরেজিতে সাবলীলতা অর্জনে পর্দার আড়ালের প্রক্রিয়া নিয়ে।

দেখুন, আমরা যখন একটা শব্দ যেমন- eat উচ্চারণ করি। তখন সেটা আসলে কিভাবে আমাদের মাথায় আসে এবং মুখ দিয়ে বের হয়? আমরা যখন বলি eat তখন আমরা ঠিক ঐ শব্দটাকেই (আওয়াজ ও সংশ্লিষ্ট চিত্রকল্প) চিন্তা করি। আমরা কিন্তু eat এর মধ্যে অবস্থিত প্রতিটি বর্ণকে আলাদা আলাদা চিন্তা করি না, অন্তত সচেতনভাবে তো অবশ্যই নয়। মানে হলো, আমরা মাথার ভেতর মনে ও মগজে এভাবে e-a-t প্রতিটা বর্ণকে আলাদা আলাদাভাবে চিত্রায়িত করি না। আমরা চিন্তা করি ও বলি পুরো একটা অখন্ড শব্দ eat কে।

এতটুকু বুঝতে আশা করছি কারো কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এবার আসি বাক্যের দিকে।

একজন ইংরেজ বললেন – I eat rice.

তখন তার মনে ও মগজে আসলে কি উদ্ভূত হয়?
তার চিন্তায় ঠিক ভাত খাওয়ার দৃশ্যটি উদ্ভূত হয় এবং ঐ দৃশ্য প্রকাশক বাক্যটি যুগপৎভাবে অখন্ডভাবে ঠিক এভাবে বের হয়ে আসে – ieatRICE অথবা iEATrice অথবা Ieatrice

লক্ষ্য করুন আমি I eat rice এভাবে লিখিনি। পুরো একটি বাক্যকে একটা শব্দাকারে অখন্ড করে লিখেছি। যার মাতৃভাষা ইংরেজি তিনি সচেতনভাবে প্রতিটা শব্দ (এখানে তিনটা)কে আলাদা আলাদাভাবে (মগজে ও চিন্তায়)চিত্রায়িত না করে একটি শব্দ হিসেবে চিত্রায়িত করে এবং বলে ফেলে। এটা প্রাকৃতিক ভাবেই ঘটে থাকে তাদের অবচেতন মনের মধ্যে। ঠিক এ ব্যাপারটিই আমাদের ক্ষেত্রেও বাংলায় কথা বলার সময় ঘটে থাকে। এটা যেহেতু প্রাকৃতিক ঘটনা এবং আমাদের অবচেতন মনে ঘটে সেহেতু আমরা সেটা বুঝতে পারি না। আর বুঝতে পারি না বলেই আমরা মাতৃভাষায় গড়গড় করে কথা বলতে পারি।

এ পর্যনত্ এসে তাহলে একটা বিষয় বলা যায়। I eat rice এই বাক্যটা মুখ দিয়ে বের হওয়ার পর্দার আড়ালের বিষয় যত মাত্রায় আমাদের ’অবচেতন’ (চেতন মনে নয়) মনে ঘটবে আমরা ততবেশি সাবলীল হব।

লক্ষ্য করুন, যদি বক্তা তার ভাত খাওয়ার ঘটনার মধ্যে RICE কে জোর প্রদান করতে চান মানে এটাকে প্রধান বক্তব্য বলে বোঝাতে চান তবে তিনি বলবেন ieatRICE । আরে ভাই, আমি ’ভাত’ খাই। ধান, গম খাই না, ভাত খাই। এই বাক্যে sentence stress পড়বে RICE এর উপরে। ফলে এই বাক্যটাকে শ্রোতার কানে RICE শব্দটাকে স্পষ্ট শোনাবে। আর বাকী i এবং eat শব্দ দুটিকে ক্ষীণ শোনাবে।

আর যদি, খাওয়ার ঘটনাকে জোর দিতে চান তখন বলবেন – iEATrice । এখানে sentence stress পড়বে EAT এর উপর। আরে ভাই, আমি খাই। নাচি না! খাই! খাই! স্বভাবতই এখানে EAT শব্দটাকে যতটা পরিষ্কার শোনাবে ঠিক ততটাই ক্ষীণ শোনাবে অন্য শব্দ গুলো।

তৃতীয় ক্ষেত্রটার ব্যাখ্যা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।

আমি যেটা বলতে চাচ্ছি সেটা হলো, একটা ছোট বাক্যকে তারা একটা অখন্ড শব্দ বিবেচনা করে চিন্তা করে এবং প্রকাশিত ভাবের মধ্যে যে বিষয়টাতে জোর দিতে চায় ঠিক সেই শব্দ/শব্দগুচ্ছ/বাক্যাংশকে জোরে ও স্পষ্ট করে বলে। বাকী শব্দ/শব্দগুচ্ছ/বাক্যাংশ কে দ্রুত এবং ক্ষীণ স্বরে বলে। বক্তা তার বাক্যের মধ্যে ঠিক যে ভাবকে ফুটিয়ে তুলতে চাচ্ছেন ঠিক সেই সংশ্লিষ্ট শব্দগুলোতেই জোর দেন। এবং বলা বাহুল্য বাক্যের সেই অংশগুলো বুঝতে পারলেই শ্রোতার কাছে বক্তার প্রকাশিত ভাব পরিস্ফূট হয়। এই জোর প্রদান করা শব্দগুলোকে আমরা বলতে পারি key word। এবং key word এ ‍stress প্রদানের ঘটনাকে বলতে পারি sentence stress। যারা word stress/stress/accent বিষয়টা ভালোভাবে বোঝেন তারা খুব সহজেই বিষয়টা ধরতে পেরেছেন, আশা করছি। বাচ্চারা key word দিয়েই কথা বলা শুরু করে এবং আমাদের বুঝতে তেমন সমস্যা হয় না। সে যা-ই হোক সেটা অন্য প্রসঙ্গ।

একারণেই যে বাক্য বলতে আমাদের তিন সেকেন্ড সময় লাগে সেই বাক্য তাদের বলতে লাগবে ১ সেকেন্ড। আমরা প্রতিটা শব্দকে সচেতনভাবে আলাদা আলাদা করে চিন্তা করি ফলে আমাদের বলতে সময় বেশি লাগে। এবং এই প্রতিটা শব্দকে সচেতন ভাবে আলাদা আলাদা করে বলাটা সাবলীলতার পথে বাধাস্বরূপ। ইংরেজ লোকটির কাছে I eat rice একটি ঘটনা/কল্পচিত্র যা সে কল্পনা করে এবং এই কল্পচিত্র প্রকাশক ভাবটি হলো একটি শব্দ। যেমন- আমরা যখন ’আম’ বলি তখন আমের চিত্র আমাদের মনে চলে আসে। আ-ম এভাবে আসে না। উল্টো করে বললে, আমের কল্পনা থেকেই ’আম’ কথাটি বলি। ঠিক একই ভাবে ‘ভাত খাওয়া’ –র দৃশ্যটি নির্দেশক বাক্য হলো- ieatrice। দৃশ্য থাকবে মাথায়/কল্পনায় বাক্য/শব্দ থাকবে মুখে।

এখন প্রশ্ন হলো, ছোট বাক্য না হয় বুঝলাম ‘একটা শব্দ’ বিবেচনা করা হচ্ছে। বড় ও জটিল বাক্যের বিষয়ে কি বলা যায়? এর উত্তরে আমি বলবো, বড় ও জটিল বাক্যকে বক্তা তার প্রয়োজন অনুসারে এক বা একাধিক অংশে (বা শব্দে, যেমনটা আমরা বলছি) ভাগ করে ফেলে।

উদাহরণস্বরূপ, I never study when I eat rice.

এই বাক্যটাকে বক্তা একটা শব্দ বিবেচনা করতে পারে অথবা একাধিক শব্দও বিবেচনা করতে পারে তার চিন্তা প্রকাশের উদ্দেশ্য মোতাবেক। এভাবে বক্তা তার প্রয়োজন অনুসারে বাক্যকে বড় বড় অংশে বিভক্ত করে পুরো বাক্য প্রকাশ করে। প্রতিটি শব্দকে আলাদা আলাদা ভাবে সচেতনভাবে বিবেচনা করে না। অবচেতন মনে অবশ্যই সেগুলো আলাদা। যেমনটা আমাদের সচেতন মনে আলাদা। এটা কিভাবে ঘটে? পুরো বিষয়টাই সৃষ্টিকর্তা করে থাকেন। জন্মের পর থেকেই মানুষ তার বাবা-মা ও আশে-পাশের মানুষ ও পরিবেশ থেকে প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি বাক্য কে বিশোষণ করে নেয়। আমার কাছে মনে হয়(ভুল হতেই পারে), প্রতিটি শব্দ/বাক্য/ঘটনা তার কাছে এক একটি অন্বয়(গণিতের ভাষায় ফাংশন-অন্বয়)। অন্বয় অর্থ সম্পর্ক। সে ‘ভাত খাই’ ঘটনা প্রকাশক বাক্য শিখে নেয় ieatrice। আবার ‘ভাত খাচ্ছি’ এর বাক্য শিখে নেয় iameatingrice। এভাবে সে প্রতিটা ঘটনার জন্য আলাদা আলাদা বাক্যকে আত্মস্থ করে। এ জন্যই তাকে tense শিখতে হয় না। বা, tense পরিবর্তন করে করে কথা বলতে হয় না। একই ভাবে, কোন শব্দের পরে কোন শব্দ বসবে তার ব্যাকরণ (grammar) জানতে হয় না। কারণ তার কাছে ‘ভাত খাই’ মানে হলো ‘ieatrice’ আর ‘ভাত খাচ্ছি’ এর মানে হলো ‘iameatingrice’। প্রতিটা ঘটনার জন্য আলাদা আলাদ বাক্য/শব্দ।

এখন প্রশ্ন হলো, মাতৃভাষার ক্ষেত্রে তো এই প্রক্রিয়াটি প্রাকৃতিকভাবে ঘটে থাকে। কিন্তু বিদেশি ভাষার ক্ষেত্রে উপায় কী?

এ প্রশ্নের জবাব বোধকরি সবচেয়ে ভালো দিতে পারবেন পড়ালেখা না জানা লোক। মানে, পড়াশোনা জানেনা এমন লোক যিনি ইংরেজ, আরব ইত্যাদি দেশে গিয়ে ইংরেজি, আরবী ভাষা শিখে থাকেন। এখানেই রহস্যের সমাধান। তাদের কাছে থাকে এক একটি ঘটনার ছবি এবং তৎসংশ্লিষ্ট শব্দ/আওয়াজ। ঠিক যেমনটা এতক্ষণ আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। বোধকরি, সেজন্যই ইংরেজ পরিবেষ্টিত পরিবেশে ইংরেজি ভাষা শেখা সবচেয়ে সহজ।

এখন কথা হলো, যারা পড়াশোনা জানেন কিন্তু ইংরেজ পরিবেষ্টিত পরিবেশে থাকেন না তারা কিভাবে ইংরেজি আত্মস্থ করবেন? সত্যিই এটা একটা দূরহ ব্যাপার। কিন্তু অসম্ভব নয় অবশ্যই। পরবর্তী অংশে আমি এই দূরহ বিষয়ে, বলা যায় আমার ব্যক্তিগত চিন্তা, ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ।

That’s where Annie Hayworth, the school teacher, lives.

উপরে বাক্যটি নিয়ে কথা বলার আগে আরেকটা বিষয় বলা প্রয়োজন মনে করছি। ওয়ারড্রব তো আমরা চিনি। একটা ওয়ারড্রবে কাপড়-চোপড় ভাজ করে করে গুছিয়ে গুছিয়ে একটার পর একটা সাজিনে না রেখে যদি এলোপাথাড়ি করে জট পাকিয়ে রাখা হয় তখন কি ঘটে? প্রয়োজনীয় কোনো একটা কাপড়ের প্রয়োজন হলে সহজে সেটা খুঁজে পাওয়া যাবে না। সবগুলো কাপড়ের জট বের করে একটা একটা খুলে দেখতে হবে। আর যদি ভাজ করে সুন্দর করে রাখা হত তবে খুব সহজেই কাংখিত কাপড়টি নিমিষেই খুঁজে পাওয়া যেত। মানুষের মস্তিষ্কটা ঠিক এমনই। এর মধ্যে তথ্যগুলোকে যতটা সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হবে ঠিক ততটাই সহজে ও কম সময়ে প্রয়োজনীয় তথ্য বের করে আনা সহজ হবে। ঠিক এ কারণেই কমপিউটারের হার্ডডিস্কের বিভিন্ন হার্ডড্রািইভ ও ডিরেক্টরি তৈরি করে সেখানে ফাইল/তথ্য রাখা হয়। যা’হোক বিষয়টা বোঝা গেছে আশা করছি।

এবার উপরের ইংরেজি বাক্যটার দিকে নজর দেয়া যাক। আমাদেরকে এই ইংরেজি বাক্যটাকে আত্মস্থ করতে হবে যাতে ঠিক এ ধরনের পরিস্থিতির কথা বলতে গেলে কোনোরূপ চিন্তা (শব্দ, বাক্য, ক্রিয়ার কাল, কোন শব্দের পর কোনটা বসবে মানে ব্যাকরণ ইত্যাদি) না করেই গল গল করে সঠিক পরিস্থিতিতে সঠিক বাক্য সঠিকভাবে বলতে পারি।

আমি পুরো বাক্যটিকে নিচের কয়েকটা অংশে ভাগ করে নিলাম:
1.   That’s
2.   That’s where
3.   Annie Hayworth lives
4.   The school teacher lives
5.   Where Annie Hayworth lives
6.   Where the school teacher lives
7.   Where Annie Hayworth, the school teacher lives
8.   That’s where Annie Hayworth, the school teacher, lives.

লক্ষ্য করুণ আমি বাক্যটি সম্ভাব্য ৮টি অংশে ভাগ করেছি। প্রথমেই আমরা পুরো বাক্যটি পড়ে কোনো ইংরেজ/আমেরিকানের মুখে শুনে (যদি সম্ভব হয়) এবং নিজের মুখে উচ্চারণ করে করে ঠিক কোন বিষয়টা বোঝানো হয়েছে সেটা কল্পনায় আত্মস্থ করে নেব। Annie Hayworth নামে একজন মহিলা, যিনি আবার স্কুল শিক্ষিকা, ওখানে থাকেন। মানে কোনো একটা বাড়িতে থাকেন সেটা বোঝানো হয়েছে। আপনি একটা বাড়ি ও একজন মহিলাকে কল্পনা করুন। এবং ভাবুন ঐ বাড়িতে মহিলাটি থাকেন। যদি কোনো শব্দের অর্থ বুঝতে অসুবিধা হয় তবে অভিধান দেখে সেটার অর্থ জেনে নিন এবং বুঝে নিন। মুখস্ত করার প্রয়োজন নেই। বাক্যটি মুখে বলুন আর দৃশ্যকল্পটি মাথায় আনুন। প্রতিটা শব্দকে আলাদা আলাদা করে বলতে পারেন। কোনো সমস্যা নেই। যেভাবে বলতে মন চায় বা বুঝতে সুবিধা হয় সেভাবেই বলুন। এভাবে বার বার করুন। এটা আমাদের প্রাথমিক কাজ। পরের ধাপে যাওয়ার আগে একটা বিষয় বলে নেয়া ভালো। আত্মস্থ করার ধাপ তিনটি: মুখস্ত, ঠোটস্থ এবং আত্মস্থ। এটা মাথায় রাখবেন। চলুন এবার বাক্যটিকে আত্মস্থ করার পরের ধাপে যাওয়া যাক।

যারা কমপিউটার প্রোগ্রামিং ভাষা জানেন (না জানলেও ক্ষতি নেই) তারা নিশ্চয় জানেন যে, প্রোগ্রামিংয়ে এক একটি ডেটা/তথ্যকে এক একটি স্থানে/ভ্যারিয়েবলে/চলকে রাখা হয় যা পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুসারে ডেকে নিয়ে প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহার করা হয়। ঠিক এমনিভাবে আমি একটি বাক্যকে সম্ভাব্য ৮টি ভাগে ভাগ করেছি। এই ৮টি ভাগকে আমরা আমাদের মস্তিষ্কের ৮টি স্থানে আত্মস্থ করে রেখে দেবো। যখনই প্রয়োজন পড়বে তখনই এগুলোকে তড়িৎ ডেকে নিয়ে আমরা আমাদের মনের ভাব তাৎক্ষণিক প্রকাশ করবো। এটাই হলো পুরো প্রক্রিয়ার মূল সূত্র। সূত্রটা এখনই বুঝতে হবে এমনটা নয়। না বুঝে আসলেও কোনো সমস্যা নেই। পরবর্তী অংশে তো আমরা হাতে কলমে জানতেই পারবো, তাই না?

1. That’s এটাকে বার বার উচ্চারণ করে করে (দ্যাট’স, দ্যাট’স, দ্যাট’স…..)মুখে ফেনা তুলে ফেলতে হবে। That’s মানে হলো এটা/ওটা। প্রয়োজনে চোখ বন্ধ করে একটা বাড়ি কল্পনা করে হাত দিয়ে নির্দেশ করে করে বলতে হবে। অথবা একটা বাড়ির সামনে গিয়ে হাত দিয়ে নির্দেশ করে উচ্চারণ করতে হবে। যদি দ্রুত উন্নতি করতে চান তবে যেকোন জিনিস যেমন বই-পত্র, কমপিউটার ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখিয়ে উচ্চারণ করতে হবে। এরপর 2.That’s where এটা কোনো স্থানকে নির্দেশ করছে। আমাদের আলোচ্য বাক্যটিতে একটা বাড়ি/থাকার জায়গাকে নির্দেশ করছে। আগের মতই একটা বাড়ি/থাকার জায়গাকে চিন্তা করুন আর বলতে থাকুন ‘দ্যাট’স ওয়্যা’, ‘দ্যাট’স ওয়্যা’, ‘দ্যাট’স ওয়া’……। এ প্রক্রিয়ায় 3, 4, 5, 6, 7 কে আত্মস্থ করুন। যখন the school teacher বলবেন তখন একজন শিক্ষক(এখানে শিক্ষিকা) কে কল্পনা করুন। এখানে কল্পনা করুন Annie Hayworth নামে একজন মহিলা ক্লাশে পড়াচ্ছেন। অর্থাৎ Annie Hayworth, the school teacher যখন বলবেন তখন Annie Hayworth ক্লাশে পড়াচ্ছেন এমনটা কল্পনা করুন আর বলতে থাকুন।

লক্ষ্য করে দেখুন তো 8 নম্বরে এসে পুরো বাক্যটাকে দেয়া হয়েছে। হঁ্যা অবশ্যই এটাকেও একই ভাবে আত্মস্থ করুন। মাথায় দৃশ্যকল্প আর মুখে পুরো বাক্য। এখনই কিন্তু পুরো বাক্যকে একসাথে একটি শব্দাকারে (যেমনটা কিছুক্ষণ আগে বলেছিলাম) বলার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে বলার সময় চিন্তা করে করে বলে বলে দেখুন যে কোন শব্দ/শব্দগুচ্ছ/বাক্যাংশকে একসাথে বললে সুবিধা হয়। যেমন- এভাবে চিন্তা করে বলতে পারেন – That’s-------where Annie Hayworth, the school teacher, lives. অথবা That’s where----- Annie Hayworth, the school teacher, lives. আপনি যখন বারবার দৃশ্যকল্প চিন্তা করে করে বলতে থাকবেন দেখবেন একটা সময় পর নিজেই বুঝতে পারবেন পুরো বাক্যটাকে কোন কোন meaning unit এ ভাগ করে বলতে এবং চিন্তা করতে সুবিধাজনক। আমরা যেহেতু আগেই 1-7 পর্যন্ত আলাদা আলাদা করে আত্মস্থ করে রেখেছি তাই এখন আর পুরো বাক্যকে আত্মস্থ করতে সমস্যা হবে না। এভাবে যদি এই বাক্যটি এবং পরিস্থিতিটাকে আত্মস্থ করে উপুর্যপুরি বাস্তবে ব্যবহার করা হয় তবে একটা সময় এসে পুরো বাক্যটি হয়ে যাবে কথকের কাছে একটি মাত্র শব্দ যেটি পরিস্থিতি সামনে আসলেই (শব্দ, বাক্য, ব্যাকরণ এসব নিয়ে মাথা ঘামানো ছাড়াই) মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসবে। কথকের মাথায় চিন্তা খেলা করবে পরিস্থিতি এবং মনের ভাব নিয়ে। ভাষা নিয়ে নয়। কোন শব্দের পর কোন শব্দ বসাবেন মানে ব্যাকরণের নিয়ম, টেন্স কি হবে ইত্যাদি ভাবার প্রয়োজনই পড়বে না যেমনটা প্রয়োজন পড়ে না আমাদের বাংলায় কথা বলার সময়। কেন পড়বে না সেটার ইংগিত আগে একবার দিলেও কিছুক্ষণ পরেই আবার বলা হবে। সুতরাং বিরতির পর আমাদের সংগেই থাকবেন। :D

এ পর্যায়ে এসে পাঠকের মনে যে প্রশ্নটা উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে সেটা কিন্তু আমি জানি। ভাবছেন এই বাক্য এবং পরিস্থিতি না হয় আত্মস্থ হলো এবং বলতেও পারলাম। কিন্তু অন্য পরিস্থিতিতে কিভাবে বলবো। আপনি যদি এই একটি বাক্যকে যথাযথভাবে আত্মস্থ করে বার বার ব্যবহার করে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তবে এ ধরনের অন্য বাক্যগুলোকেও এটার মতই গড়গড় করে বলতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ। বিশ্বাস হচ্ছে না তো? ঠিক আছে পরের অংশ পড়েন।

ধরুন আপনি That’s where Karim lives. এই বাক্যটা বলতে চাচ্ছেন। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন, এই বাক্যের Karim বাদে অন্য অংশগুলো আমরা আগেই আত্মস্থ করে রেখেছি। ঐ অংশগুলো আমাদের মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট স্থানগুলো জমা (save) হয়ে আছে। ঐ অংশগুলো আলাদা আলাদা তো জমা আছেই তার সাথে পুরো বাক্য ও পরিস্থিতিও আলাদাভাবে জমা আছে। শুধু যে জমা আছে তাই নয়, আত্মস্থও করা আছে। যেহেতু আত্মস্থ করা আছে সেহেতু মস্তিষ্ক করবে কি আলাদা আলাদা অংশগুলোকে আলাদা আলাদা স্থান থেকে সংগ্রহ করে যথাযথাভাবে একটার সাথে একটাকে জোড়া লাগিয়ে পুরো বাক্যকে একটি শব্দ ও চিত্রকল্প আকারে উপস্থাপন করবে এবং মুখ দিয়ে বের করে দেবে। আল্লাহ তাআলা মানুষের মস্তিষ্ককে এমন ক্ষমতা দিয়েছেন যে পুরো প্রক্রিয়াটা এত দ্রুত সম্পন্ন হবে যে কথক বুঝতেই পারবে না ভেতরে কি হচ্ছে। যেমনটা আমরা আমাদের মাতৃভাষার ক্ষেত্রে বুঝতে পারি না। ইংরেজির ক্ষেত্রে যখনই এই প্রক্রিয়াটা আমরা সচেতনভাবে বুঝতে পারি তখনই কথা বলায় সমস্যা হয়, সাবলীল হতে পারি না। প্রতিটা শব্দ, ব্যাকরণ এগুলো মাথায় ঘোরার কারণেই আমরা সাবলীল হতে পারি না। যত অনুশীলন ও বাস্তবে ব্যবহার করবেন ততই প্রক্রিয়াটা স্বয়ংক্রিয় হতে থাকবে। এবং প্রয়োজন মত বাক্য নিজে নিজেই তৈরি হতে থাকবে।

আবার ধরুন, আপনার নতুন বন্ধুকে আপনার বাড়ি চিনিয়ে দিচ্ছেন – দেখেছ ঐ লাল বাড়িটা? ওখানেই আমি থাকি(ওটাই আমার বাসা)। এটা বলতে কিন্তু আপনার খুব একটা বেগ পেতে হবে না। কারন আপনি এ ধরনের বাক্য ও পরিস্থিতি আগেই আত্মস্থ করে রেখেছেন। See that red house? That’s where I live.

এখন আপনার মাথায় প্রশ্ন জাগছে- আচ্ছা, টেন্স, পার্সন এসবের পরিবর্তন কিভাবে করবো? সেগুলোর জন্য কি ব্যাকরণ শেখা লাগবে?

না, সেগুলোর জন্য ব্যাকরণ শেখা লাগবে না অন্তত প্রাথমিক পর্যায়ের কথাবার্তা বলার জন্য। এর ব্যাখ্যা প্রথমেই দিয়েছি। হয়ত লক্ষ্য করেন নি। পরের অংশ পড়ুন।

I live.
He lives.
I am living.
He is living
They live.
They are living.

এখানে ছয়টি বাক্যের জন্য আপনি আলাদা আলাদা ছয়ভাবে আত্মস্থ করবেন এবং মস্তিষ্কের ছয়টি আলাদা আলাদা জায়গায় এগুলিকে সংরক্ষণ করবেন। I live এবং I lived আপনার কাছে দু’টি আলাদা পরিস্থিতি, দু’টি আলাদা বাক্য, দু’টি আলাদা ভাব। ব্যাকরণের নিয়মানুসারে ‘live’ ভার্ব এর Past form ‘lived’ এভাবে ভাবছেন না। Present Tense এ Subject + Vpresent এবং Past Tense এ Subject + Vpast আপনি এভাবে ভাবছেন না। এ মুহূর্তের কথা বলছেন – I live। আগের কথা বলছেন – I Iived। আবার আমার জন্য – I live। অন্যদিকে তার (পুরুষ) জন্য – He lives। মহিলার জন্য She lives। এভাবে প্রতিটা পরিস্থিতি আলাদা আলাদা করে আত্মস্থ করার ফলে আপনি ব্যাকরণ শেখা ছাড়াই বাক্য তৈরি করতে পারবেন নতুন নতুন পরিস্থিতিতে।

এবার নিশ্চয় আপনি নড়েচড়ে বসেছেন। একটা সন্দেহ এসে আপনার মেজাজ খারাপ করে দিচ্ছে। মনে হচ্ছে হাতের কাছে এই প্রবন্ধের লেখক বেটাকে পেলে আচ্ছামত ধোলাই দেয়া যেত। সন্দেহটা হলো, এভাবে যদি প্রতিটা বাক্যকে আলাদা আলাদা করে আত্মস্থ করতে হয় তবে তো সারা জীবনেও ভাষা শেখা শেষ হবে না। একটু দার্শনিক ভাব নিয়ে যদি উত্তর দেই তাহলে বলবো- না, সারা জীবনেও শেষ হবে না। তবে আশার কথা হলো- অবশ্যই শেষ আছে। এক আল্লাহ ছাড়া কোনো কিছুই অসীম নয়। সবই সসীম। যা’হোক দার্শনিক ভাব-চক্কর বাদ দিয়ে উদাহরণে আসি।

একটু ভাবুন তো, আজকে সারাদিন আপনি কয়টা নতুন কথা বলেছেন, কয়টা নতুন শব্দ ব্যবহার করেছেন? আমি বাংলার কথাই বলছি। সারাদিন তো ফেইসবুকে ছিলেন। কয়টা নতুন কমেন্ট করেছেন, কয়টা নতুন বাক্য, নতুন শব্দ ব্যবহার করেছেন? এই যে এই পোস্টটা পড়ছেন কয়টা মূর্লঅয়নধর্মী চিন্তাশীল কথা কমেন্টে বলবেন? আমি ধারণা করি, একটাও নয়। আসলে ব্যক্তি ভেদে সাধারণ মানুষেরা প্রতিদিন ঘুরে ফিরে অল্প কিছু শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করেন। এসব শব্দ ও বাক্যের সংখ্যা অবশ্যই সসীম। একজন রিক্সাচালক, ঠেলা চালক, মুদি দোকানদার সারাদিন এমনকি জীবনভর সীমিত সংখ্যক শব্দ, বাক্য ব্যবহার করে সীমিত সংখ্যক মনের ভাব প্রকাশ করে থাকেন। লক্ষ্য করলেই দেখবেন বেশিরভাগ মানুষ সারাক্ষণ একই কথা বলতেই আছে। ধরলাম আপনি ছাত্র। আপনার মা যখন আপনাকে পড়াশোনা নিয়ে বকাঝকা দেন তখন দেখবেন ওনার বক্তব্য সব সময় একই থাকে। একই কথা বলে প্রতিদিন সারাক্ষণ বকাঝকা দিচ্ছেন। যেমন- তোর পিছনে এত টাকা খরচ করছি, তোর প্রাইভেটে এত এত টাকা খরচ করি, যখন যা চাস তাই দেই। অমুকের ছেলে তুমুক কত ব্রিলিয়ান্ট। রেজাল্ট কত ভালো। আর তুই লাড্ডু! এই বার যদি A+ না আসে তোরে আর পড়ামু না। তোর পেছনে আর খরচ করমু না। বাইর হয়া যা। কাম কইরা খা। ইত্যাদি ইত্যাদি একই কথা সারক্ষণই বলছেন। ঠিক এবার নিজের কথা ভাবুন তো। সারাক্ষণ প্রতিদিন প্রতিক্ষণ কী নিয়ে কথা বলছেন? ফেইসবুক, জরিনা, সারিনা, সখিনা, ফ্রেন্ড সার্কেল, হ্যাং আউট ইত্যাদি গুটি কয়েক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিন গুটি কয়েক শব্দ, বাক্য ও মনের ভাবই কিন্তু প্রকাশ করে যাচ্ছেন। সৃজনশীল বিষয় নিয়ে নতুন চিন্তার, নতুন কথা কিন্তু বলছেন অতি নগন্য সংখ্যক লোকজনই। তার মানে দাঁড়ালো একজন সাধারণ মানুষ তার সাধারণ দৈনন্দিন প্রয়োজনে সীমিত সংখ্যক শব্দ, বাক্য ও মনের ভাব প্রকাশ করে থাকেন। বাড়িতে বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব আর বাইরে শিক্ষক, বন্ধু, অফিসের বস, সহকর্মী, দোকানের ক্রেতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে কিছু গৎবাধা সাধারণ কথা বার্তা বলে থাকেন। এই সীমিত সংখ্যক বাক্যগুলোকে আত্মস্থ করা অসম্ভব কিছু নয়।

বোঝার সুবিধার জন্য ধরে নিলাম উল্লেখিত ক্ষেত্রগুলোতে মোটামুটি ১০০০ টা বাক্য ব্যবহার করা হয়। কেউ যদি ৫০০/৬০০ বাক্যও আত্মস্থ করে তবে বাকী ৪০০ বাক্য এমনিতেই এসে যাবে। তাছাড়া আমাদের উদাহরণে দেখেছি That’s, that’s where, where, live এই কয়েক’টি অংশ আত্মস্থ করলেই এ ধরনের আরো অনেক বাক্য তৈরি করা যায়। এ্রভাবে যত এগুতে থাকবো ততই শব্দ, বাক্য, শব্দগুচ্ছ, বাক্যাংশ ইত্যাদির সংখ্যা কমতে থাকবে। ফলে পরিশ্রম কমতে থাকবে, সময় ব্যয়ের পরিমাণও কমতে থাকবে ক্রমশ। একটা বাক্য আত্মস্থ করলে আরো একশটা বাক্য এমনিতেই আত্মস্থ হয়ে যাবে। তবে প্রথম দিকে স্বাভাবিকভাবেই পরিশ্রমটা একটু বেশিই করা লাগবে।

এবার প্রশ্ন হলো, আমরা কোথায় আমাদের প্রয়োজনীয় বাক্যগুলো পাবো? আামার মতে এর সবচেয়ে ভালো উৎস হতে পারে ভালো ভালো ইংরেজি সিনেমার ডায়ালগ। পরিস্থিতিগুলো চোখের সামনে দেখা যায়। ফলে আত্মস্থ হয় সহজে এবং মনে ও থাকে বেশিদিন। শুনে শুনে চর্চা করার কারণে Listening টাও হবে। প্রসঙ্গত বলে রাখছি, Listening এবং Speaking অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। একটাকে ছাড়া অপরটিতে একশভাগ দক্ষতা আনা অসম্ভব। ভালো লেখকের ডায়ালগ বা স্পোকন ইংলিশের বইও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে যাতে বাংলিশ ইংলিশ না হয়। ইংরেজি শিখবেন যখন Natural English শেখাই উচিত। বাস্তবে বাংলিশ ইংলিশ তেমন কোনো কাজে আসবে না।

এখন কথা হলো, তাহলে কি আমাদের ব্যাকরণ শেখার প্রয়োজন নাই? ব্যাকরণ ছাড়াই কি কথা বলা শেখা যাবে? আমার ব্যক্তিগত মত হলো – সাধারণ দৈনন্দিন জীবনে গার্হস্থ কথাবার্তা বলার জন্য ব্যাকরণের প্রয়োজন নাই। ব্যাকরণ ছাড়াই উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে আত্মস্থকরণের মধ্য দিয়ে ভাষাটাকে রপ্ত করতে হবে। যখন মুখে সাবলীলভাবে বলা যাবে তখন সেটাকে লেখাও যাবে যেমন আমরা মুখের কথাটা মোটামুটি লিখতেও পারি। তবে মনে রাখতে হবে, মুখে বলে মনের ভাব প্রকাশ করা আর লিখে প্রকাশ করা এক জিনিস নয়। আমরা মুখে অনেক কথাই বলি এবং মনে মনে চিন্তা করি। তার সবটুকুই কিন্তু লিখে প্রকাশ করতে পারি না। লিখতে গেলেই বোঝা যায় বিষয়টা কতটা কঠিন। অবশ্য এ ক্ষেত্রেও মুখে বলার সাথে যত বেশি লেখালেখি করা হবে তত বেশি ভালো ভাবে লেখায়ও পারদর্শিতা আসতে থাকবে। এ গেল সাধারণদের কথা। কিন্তু আপনি যদি হতে চান লেখক, গবেষক, শিক্ষক, বৈজ্ঞানিক তখন কিন্তু আপনার ক্ষেত্রটা গন্ডিবদ্ধ থাকবে না। অনেক জটিল জটিল মনের ভাব আপনাকে লিখে প্রকাশ করতে হবে, বক্তৃতা দিতে হবে, অন্যদেরকে ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাকরণ এর দ্বারস্থ আপনাকে হতে হবে হয়ত।কারণটা বুঝতেই পারছেন, সাধারণ গতানুগতিক কথা বার্তা বলা আর জটিল বিষয় তুলে ধরা এক কথা নয়। এ ক্ষেত্রেও, আমার ব্যক্তিগত ধারণা হলো, ব্যাকরণ ছাড়াও কাজ চালানো সম্ভব। কারণ আপনি যখন লেখক/গবেষক হতে থাকবেন তখন স্বাভাবিকভাবেই আপনি নানান ধরনের উচ্চাঙ্গের বইপত্র পড়তে থাকবেন, শুনতে থাকবেন। এভাবে পড়তে পড়তে শুনতে শুনতেই প্রয়োজনীয় জটিল বাক্য আপনার আত্মস্থ হয়ে যাবে। যেমনটা মাতৃভাষার ক্ষেত্রে আমাদের হয়। এই যে আমি এই নিবন্ধে একটা জটিল বিষয় উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি সেটার জন্য কিন্তু আমি বাংলা ব্যাকরণের সাহায্য নিইনি। ইংরেজি ভাষায় আশা করি নেয়া লাগবে না। অন্তত যুক্তি তো তাই বলে, তাই না?

আপনি লেখক, গবেষক যা-ই হতে চান না কেন প্রথমে Listening এর মধ্য দিয়ে Speaking কে আত্মস্থ করতে হবে। তারপর Reading। এবং তারপর Writing। এভাবে writing এ এসে ব্যাকরণের মনোযোগ দেয়া উচিত। দু:খের বিষয় আমাদের দেশে প্রথমেই Wirting তথা ব্যাকরণ শুরু করে পুরো ইংরেজি শেখাকে এমন এক জটিল আবর্তে ফেলে দেয়া হয়েছে যে, একটা ভাষা শিখতেই সারাটা জীবন চলে যায়। তারপরও কার্যকরভাবে শেখা সম্ভব হয় না।

উপসংহারে আবারো বলছি, আমি শুধু মাত্র একটা চিন্তার খোরাক উপস্থাপন করেছি। কতটুকু সত্য বস্তু আছে সেটা পাঠকগণ তাদের গভীর চিন্তা, গবেষণা ও অভিজ্ঞতা থেকে মূল্যায়ন করবেন এই প্রত্যাশা করি। আর হঁ্যা, সদা সর্বদা যেকোনো গঠনমূলক আলোচনা, সমালোচনা সাদরে আমন্ত্রিত।

Comments

  1. চমৎকার, যথাযথ এবং কার্যকর বিশ্লেষন।

    ReplyDelete
  2. আপনার মতে লিসেনিং এর জন্য ভালো উপায় কি কি হতে পারে?

    ReplyDelete
  3. আমার মতে, লিসনিং এর জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো - BBC, CNN এর মত ভালো সংবাদ শোনা আর সিনেমা শোনা। আমি গান শোনাকে সুপারিশ করিনা। তার কারণও আছে। তবে সিনেমা থেকে কথ্য ইংরেজি শেখা যায় দারুণভাবে। বাক্যগুলো মনে থাকে বেশি সময়। এবং সহজে মনে আসে। মানে সাবলীলতা অর্জনে খুবই কার্যকর।
    ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular Posts