ইংরেজি সিনেমা দেখে ইংরেজি শেখা যাবে, নাকি যাবে না?
6 March
2019, 7:05pm
---------------
ইদানীং ইংরেজি
শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মনে কিছু জিজ্ঞাসা দেখা দিয়েছে। সেই জিজ্ঞাসাগুলোর
মধ্যে একটি হলো-
ইংরেজি সিনেমা
দেখে ইংরেজি শেখা যাবে, নাকি যাবে না?
-
আমরা সাধারণত
এক কথায় জবাব শুনতে বেশ পছন্দ করি। সেইহেতু এক কথায় আমার জবাব হলো-
যাবে না কেন?
-
কিন্তু বেশিরভাগ
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের এক কথায় জবাব ভয়ংকর হতে পারে। কারণ এক কথায় জবাব প্রায়:শই কোনো
চিন্তা-যুক্তির ধার না ধেরে এক তরফা আবেগ সর্বস্ব হয়ে থাকে। কিন্তু আবেগে কোনো প্রস্তাবনার
পক্ষে বা বিপক্ষে যাওয়া কখনই জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না। ওতে শুধু সমাজে মতভেদ,
ঝগড়া-ফ্যাসাদ প্রভৃতির উপদ্রব বৃদ্ধি পায়। সমাজের কোনো উপকার হয় না। সে যাই হোক, আমি
আমার জবাবের সপক্ষে চেষ্টা করছি যৌক্তিক আলোচনা তুলে ধরতে।
-
আমি কয়েকটি প্রশ্ন
করছি-
১. একজন পড়াশোনা
না জানা বাঙালি বাংলা বলতে পারে কি? যদি পেরে থাকে তবে কিভাবে পারে, কিভাবে সে শিখেছে?
২. একজন পড়াশোনা
না জানা ইংরেজ ইংরেজি বলতে পারে কি? যদি পেরে থাকে তবে কিভাবে পারে, কিভাবে সে শিখেছে?
৩. একজন পড়াশোনা
না জানা বাঙালি ইংল্যান্ড/আমেরিকা/কানাডা ইত্যাদি ইংরেজিভাষী দেশে কিংবা আরবী ভাষী
দেশে গিয়ে ইংরেজি, আরবী বলা শিখতে পারে কি?
-
আমরা জানি প্রতিটা
প্রশ্নের জবাব হলো – হ্যাঁ।
-
আমরা তৃতীয় প্রশ্নটার
দিকে একটু দৃষ্টিপাত করি। এখানে আমাদের চিন্তা করার বিষয় হলো, ইংরেজি/আরবী ভাষী দেশে
গিয়ে একজন অশিক্ষিত লোক কিভাবে সে দেশের ভাষা বলতে শেখে? তারা প্রথমে লক্ষ্য করতে থাকে
একজন ইংরেজ/আরব কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে কোন শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করছে। এভাবে চোখের
সামনে ঘটনা দেখে, দেখে তৎসংশ্লিষ্ট শব্দ/বাক্য শুনতে, শুনতে সে ভাষাটাকে রপ্ত করতে
থাকে। এ ক্ষেত্রে পড়াশোনা না জানা লোকটির দু’টি সমস্যা হয়। সেগুলো হলো, বলতে পারলেও
লিখতে পারেনা এবং কিছু কিছু বাক্য/শব্দ ভুল-ভাল বলে ফেলে। অবশ্য ভুল-ভাল বললেও সে এক
সময় ঠিকই ঠেকতে ঠেকতে ঠিক করে নেয়। যত ইংরেজ লোকদের সাথে মিশতে থাকে তত শুদ্ধ হতে থাকে
এবং নতুন নতুন শব্দ/বাক্য শিখতে থাকে। ঠিক একই প্রক্রিয়া ঘটে থাকে শিশুদের ক্ষেত্রে।
শিশুরার দেখতে, দেখতে, শুনতে, শুনতে প্রথমে কী-ওয়ার্ড দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করে। তারপর
বাক্য গঠন করার চেষ্টা করে। এবং বেশ কিছু সময় সে ভুল-ভাল বাক্য গঠন করে মোটামুটি মনের
ভাব প্রকাশ করতে থাকে। আস্তে আস্তে সে সঠিক বাক্য গঠন করতে সক্ষম হয়। এবং তারও অনেক
বছর পর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়ে পড়তে ও লিখতে শেখে।
-
সে যাই হোক আমরা
আবার সেই পড়াশোনা না জানা লোকটির কাছে ফিরে যাই। আমরা যদি ধরে নিই যে, ঐ লোকটি বাংলাদেশের
অন্তত পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ঠিকমত পড়াশোনা করেছে তাহলে সে নিশ্চিত ইংরেজি দেখে পড়তে
পারে এবং শব্দের আওয়াজ শুনে মোটামুটি সেটা বানান করে লিখতে পারে। আমি বলছি না আওয়াজ
শুনে একশভাগ সঠিক বানান লিখতে পারবে। অন্তত কাছাকাছি বানান তো অবশ্যই লিখতে পারবে যদি
সে সত্যিই পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ঠিকঠাক মত পড়াশোনা করে থাকে। তাছাড়া যেসব বানান লিখতে
সমস্যা হবে সেগুলো অভিধান দেখে ঠিক করে নেয়া নিশ্চয়ই অসম্ভব কিছু নয়। তার মানে ইংরেজি
দেখে পড়তে পারলেই যে-কেউ দেখে, দেখে, শুনে, শুনে শেখা ইংরেজি কথ্য ভাষা থেকে লেখাও
শিখতে পারবে। স্রেফ সে যেসব বাক্য শিখবে সেগুলো লিখে ফেলবে। মুখে যা বলতে পারবে কাগজে
তা লিখতেও পারবে যেমনটা আমরা বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে করে থাকি। আমি এই প্রবন্ধে যেসব
বাক্য লিখছি সেগুলো নিশ্চয়ই আমি ব্যাকরণ এর কষ্ঠি পাথরে যাচাই করে লিখছি না। বা মাথায়
ব্যাকরণ দিয়ে বাক্য সাজিয়ে লিখছি না। আমি আমার
মনে যা আসছে সেটাই লিখে যাচ্ছি। তাহলে আমরা বলতে পারি যে, ইংরেজি ভাষা শুনে, শুনে বলতে
শেখার পর অক্ষর জ্ঞান থাকলে লেখাও শেখা সম্ভব। অন্তত যে কথাগুলো বলতে পারবে ঠিক কথাগুলোই
লিখতেও পারবে মোটামুটি।
-
এবার সিনেমা দেখার
বিষয়ে আসা যাক। আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে একজন অক্ষর জ্ঞানহীন ব্যক্তি নিশ্চয়ই সিনেমা
দেখে ইংরেজি শেখার চেষ্টা করবে না। অবশ্য যদি করে তবে সেটাও সম্ভব। আমি ধরে নিচ্ছি,
অন্তত পঞ্চম শ্রেণি পাশ লোক সিনেমা দেখে ইংরেজি শেখার চেষ্টা করছে। সিনেমাতে আসলে কি
দেখানো হয়? বাস্তবে যা যা ঘটে তা-ই দেখানো হয়। একটু সিনেম্যাটিক উপায়ে, এই যা। একটি
সিনেমার দৃশ্য থেকে একটু তুলে দেখাচ্ছি-
মালিক তার কর্মচারী
Helen কে কিছু তুলা ও এন্টিসেপটিক আনতে বললেন-
Helen, get
some cotton and antiseptic.
Helen ওগুলো নিয়ে
এসে বললো – Here. (নিন)
ইংরেজি না জানা
ব্যক্তি এই দৃশ্যটা দেখলো এবং নিচে সাবটাইটেল পড়লো। সে cotton ও antiseptic দেখে বুঝলো
এগুলো আসলে কী জিনিস। আর বুঝলো কাউকে কিছু আনতে বললে get দিয়ে বলতে হয়। এখন সে নিশ্চয়ই
‘একটু পানি আন তো।’ এটা ইংরেজিতে বলতে পারবে। আবার কোনো কিছু আনার পর দেয়ার সময় কি
বলতে হয় সেটাও সে সম্যকভাবে একেবারে অকৃত্রিম ইংরেজিতে জানতে পারলো – here । এভাবে
সে সিনেমায় বাস্তব দৃশ্য দেখে দেখে এবং শুনে শুনে বা সাবটাইটেল পড়ে পড়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ
ইংরেজি শিখতে পারলো। কিভাবে কাউকে কিছু আনতে বলা হয় এবং এনে দিয়ে কী বলতে হয়। ঠিক একই
বিষয় ঘটে খোদ ইংরেজ দেশে গিয়ে ইংরেজি শেখা ব্যক্তির ক্ষেত্রে। এখানে একটা তফাৎ হলো,
ইংরেজ দেশে গিয়ে শিখলে শেখার সাথে সাথে ব্যবহার করে সেটাকে দ্রুত আত্মস্থ করা যায়।
আর সিনেমা থেকে শিখলে শিক্ষার্থী Interact করতে পারে না। সেজন্য তাকে অবশ্যই একজন সঙ্গীর
সাথে ডায়ালগগুলো বার বার চর্চা করে আত্মস্থ করতে হবে। সেটা সম্ভব না হলে অন্তত নিজে
নিজে কল্পনা করে মুখে জোরে জোরে বলে চর্চা করতে হবে। এছাড়াও সিনেমা দেখার সময় প্রতিটা
ডায়ালগ অভিনেতাদের বলার পর পরই জোরে জোরে বলতে হবে। এটাকে বলে Shadow Practice । মোটকথা
প্রতিটা দৃশ্য ও দৃশ্য সংশ্লিষ্ট বাক্য/শব্দ চর্চার মাধ্যমে আত্মস্থ করে নিতে হবে।
-
এভাবে সাবটাইটেল(ও
দৃশ্য) দেখে এবং Shadow Practice করে ইংরেজি শিখতে পারবে। তবে এতে তার Listening এ
উন্নতি অত্যন্ত ধীর গতিতে হবে। তাকে আবার পরে Listening এ সময় দিতে হবে। কারণ
Listening এর টেকনিকল দিক গুলো সম্পর্কে সম্যক
জ্ঞান না থাকলে উচ্চারণের সাথে সাবটাইটেল দেখলেও এমন এমন কিছু জায়গা আছে যে সেগুলো
মেলাতেই পারবে না। সেজন্য সিনেমা দেখে চর্চার শুরুতেই Listening এর টেকনিকল দিকগুলো
যেমন word accent/stress, sentence stress, strong/weak form, elision,
assimilation, intonation ইত্যাদি শিখে নিলে যেখানে লাগতো পাঁচ বছর সেখানে লাগবে এক
বছর। এতে সবচেয়ে বড় উপকার হলো, Speaking এবং Listening একই সাথে হয়ে যাবে।
Listening প্রথমেই শিখে ফেলার ফলে Speaking খুবই দ্রুত উন্নতি হতে থাকবে। উচ্চারণ কিভাবে
শেখা যাবে, কোথায় শেখা যাবে এসব বিষয় নিয়ে আমি প্রচুর লেখালেখি করেছি। জানতে চাইলে
BDLance E-English গ্রুপে(পেইজ নয়) ঢুঁ মারতে হবে। আমার অফলাইনের বেশ কিছু ক্লাশ শেয়ার
করেছি। এমনকি বর্তমানে একটা অনলাইন কোর্সের ঘোষণাও দেয়া আছে। আরো আছে কৌশল নির্ভর বেশ
কিছু লিখিত টিউটোরিয়াল। ও ভিডিও টিউটোরিয়াল।
-
অনেকে প্রশ্ন
করতে পারেন, মোটা দাগে না হয় শেখা যাবে কিন্তু সূক্ষ্মদাগে যেমন কোথায় কোন শব্দের সাথে
কোন Preposition বসবে, কোন Adjective বসবে ইত্যাদি কিভাবে শেখা যাবে? এগুলো তো আমরা
গ্রামার বই থেকে শিখি। ডায়ালগ থেকে কিভাবে শিখবো? দেখুন, আমরা গ্রামার বই থেকে একই
সংগে অনেক অনেক শব্দ ব্যবহারের নিয়ম জানতে পারি। কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করে আত্মস্থ
না করার ফলে ভুলে যাই এবং সময় মত মনেও আসে না। এর ঠিক উল্টো কাজ হবে ডায়ালগ চর্চায়।
একটা ডায়ালগ চর্চা মানে একটা নির্দিষ্ট বাক্য কাঠামো ও ব্যবহৃত শব্দগুলোর ব্যবহার ও
চর্চা একই সংগে হয়ে যাবে। যেমন- get some cotton and antiseptic. এই বাক্য থেকে বোঝা
যাচ্ছে, এ ধরনের প্রকাশে get এর পর কোনো preposition বসে না। কিন্তু get to them (তাদের
কাছে পৌছ/উপনীত হও) এখানে এই অর্থে to বসাতে হবে। এমনকি to এর নাম কী- preposition
নাকি verb এসব (মানে তাত্ত্বিক গ্রামার) না জেনেও এটাকে কার্যকর ভাবে ব্যবহার করা যাবে।
বাস্তবে এটাই হয়ে থাকে। এভাবে ডায়ালগ শিখতে শিখতে এগুতে থাকবে আর বাক্য কাঠামো ও শব্দ
ভান্ডার আত্মস্থ হতে থাকবে। এভাবে একটা গ্রহণযোগ্য সংখ্যক ডায়ালগ আত্মস্থ হয়ে গেলে
একটা সময় ব্যক্তির ভেতর থেকেই প্রয়োজনীয় বাক্য তৈরি হতে থাকবে স্বয়ংক্রীয় ভাবে। এ বিষয়ে
বিশাল একটা লেখা পাবেন BDLance E-English গ্রুপে।
-
যা’হোক এভাবে
দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর অনুশীলন চালিয়ে যেতে হবে। যত গুড় তত মিষ্টি।
অনুশীলন যত মানসম্মত হবে শেখাও তত দ্রুত ও কার্যকর হবে। কেউ কেউ সারাদিন বই নিয়ে বসে
থেকেও পাশ করতে পারে না। আবার কেউ কেউ দৈনিক দুই ঘন্টা পড়াশোনা করেই ক্লাশে প্রথম হয়।
আপনাকে সেটা বুঝতে হবে। কেউ যদি আমার দেখানো মতে কঠোর অনুশীলন করে তবে সে ইনশাআল্লাহ
একটা সময় বলতে ও লিখতে পারবে। এখন প্রশ্ন হলো, কতটুকু বলতে ও লিখতে পারবে? একজন সাধারণ
মানুষের দৈনন্দিন জীবনে, ঘরে ও বাইরে যে সব কর্মকান্ড পরিচালনা করে তার প্রায় সব কিছুই
করতে পারবে। একজন রিক্সা ওয়ালা যেমন মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান ও মনিব এর সাথে
ওঠা-বসা করে ঠিক তেমনি একজন ইঞ্জিনিয়ারও প্রতি দিন এসব কর্ম কান্ড করে থাকে। মানে জীবনের
মৌলিক কর্মকান্ড প্রায় সবারই করতে হয়। প্রত্যেকের পরিবেশ পরিস্থিতি হয়তো একটু ভিন্ন।
সবার হয়তো সমমানের শব্দ/বাক্য ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না। সিনেমা নিয়ে কঠোর অনুশীলন
করলে প্রায় সব মৌলিক পরিস্থিতি-ই আত্মস্থ হয়ে যাবে।
-
এবার আপনাদের
মনে কোন প্রশ্নটা উঁকি দিচ্ছে সেটা কিন্তু আমি জানি। সেটার উত্তর দেয়ার আগে আরেকটা
বিষয় বলে নেয়া যাক। ধরুন, একজন পঞ্চম শ্রেণি পাশ লোককে কেউ নিশ্চয় SSC পরীক্ষায় বসতে
বলবে না। অন্যভাবে, পঞ্চম শ্রেণি পাশ লোক চাইলেই SSC পরীক্ষায় বসতে পারবে না। তাকে
ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণি পাশ করে তবেই SSC পরীক্ষায় বসতে হবে। তারমানে আপাত
দৃষ্টিতে SSC পরীক্ষা পাশের দাম বেশি মনে হলেও পঞ্চম শ্রেণি পাশের দাম কোনো অংশেই কম
নয়। কারণ পঞ্চম শ্রেণি পাশ না করলে সে তো SSC পর্যন্ত যেতেই পারবে না, তাই না?
-
একজন লোক সিনেমা
দেখে যতটুকু ইংরেজি শিখেছে ততটুকু ইংরেজি রিক্সাওয়ালা, ঠেলা ওয়ালা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার,
IELTS প্রত্যাশী, BCS প্রত্যাশী সবাইকেই শিখতে হবে। একজন মানুষ যখন তার দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়
কথা বার্তা সাবলীলভাবে ইংরেজিতে বলতে পারবে, লিখতে পারবে তখন তার জন্য উচ্চাঙ্গের কোনো
বিষয় নিয়ে বলা বা লেখা ৭০/৮০ ভাগ সম্ভব হবে। বাকী ২০ ভাগের জন্য তাকে স্বাভাবিক রীতিতে
পড়াশোনা করে অভিজ্ঞতা নিতে হবে। যেমন- কমপিউটারের উপর একটা অনুচ্ছেদ লিখতে হলে একজনকে
প্রথমে সহজ সরল বাক্যে সাবলীলভাবে লেখা জানতে হবে। তারপর তার কমপিউটার জিনিসটার উপর
সম্যক ধারণা থাকতে হবে। সম্যক ধারণা আছে কিন্তু সাবলীল ভাবে লিখতে জানে না তাহলে তো
লিখতেই পারবে না। আবার সাবলীলভাবে লিখতে জানে কিন্তু কমপিউটার জিনিসটা খায় না মাথায়
দেয় সেটাই জানে না। তাহলেও তো লিখতে পারবে না। মোদ্দা কথা হলো, প্রথমে সাবলীলভাবে বলতে
ও লিখতে জানতে হবে। তারপর যার যার প্রয়োজন অনুযায়ী উচ্চতর বিষয়গুলো শিখতে হবে।
BCS/IELTS পরীক্ষায় যদি গ্রামারের কঠিন প্রশ্ন আসে, যদি কঠিন কঠিন শব্দ আসে তাহলে তাকে
গ্রামার শিখতে হবে, শব্দ শিখতে হবে। কিন্তু তার আগে তাকে সাবলীলভাবে লিখতে ও পড়তে জানতে
হবে। এখানেই আমাদের গলদ। এই গলদটাকে আমরা ইংরেজ দেশে গিয়ে কিংবা সিনেমা দেখে ঠিক করে
নিতে হবে। তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী কঠিন-কঠিন শব্দ, গ্রামার ইত্যাদির উপর দক্ষতা আনতে
হবে।
-
মোদ্দা কথা হলো,
ব্যবহারিক মৌলিক প্রয়োজনীয় ইংরেজি সিনেমা দেখে গ্রামার না জেনেই শেখা সম্ভব। প্রাথমিকভাবে
কিছু বিধি বদ্ধ ভুল হলেও চর্চার মাধ্যমে সেগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। মনে রাখতে হবে, গ্রামার
জেনে যারা কথা বলে বা লেখে তারাও চর্চার অভাবে ভুল করে। ভুলগুলোকে শুধরে নেয়াই বড় কথা।
তো প্রথমে শিখতে হবে ব্যবহারিক ইংরেজি তারপর যার যতটুকু এবং যে পর্যায়ের ইংরেজি প্রয়োজন
সে ততটুকু ধাপে ধাপে শিখে নেবে। সে ক্ষেত্রে গ্রামার শেখার প্রয়োজন হলে গ্রামার শেখবে,
শব্দ শেখার প্রয়োজন হলো শব্দ শেখবে।
-
পরিশেষে আবারও
পুনরাবৃত্তি, আগে শিখতে হবে ব্যবহারিক ইংরেজি তারপর উচ্চাঙ্গের ইংরেজি। এবং ব্যবহারিক
ইংরেজি সিনেমা দেখেই শেখা সম্ভব।
Comments
Post a Comment