Spoken English অনুশীলনের কৌশল


14 May 2018 1:26 am
----------------------------
ইংরেজি ভাষীদের দেশে না গিয়ে মাতৃভাষা ইংরেজি নয় (non-native English Speakers) এমন ব্যক্তির জন্য ইংরেজি কথন অনুশীলন করা বা শেখা যে কতটা কঠিন তা বোধ করি নতুন করে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই।
-
চারপাশের সবাই যখন বাংলা ভাষায়(নিজ নিজ মাতৃভাষায়) কথা বলে তখন তাদের মাঝে থেকেও কিভাবে ইংরেজি কথন শেখা যায় বা শেখার অনুশীলন চালিয়ে নেয়া যায়? এ বিষয় নিয়ে খোদ ইংরেজি ভাষীরাও কম চিন্তা গবেষণা করছেন না। তারা এবং আমরা কিছু সাধারণ পরামর্শ দিয়ে থাকি। যেমন- সবচেয়ে সহজ ও মুখস্ত পরামর্শ হলো- বেশি বেশি কথা বলা বা বেশি বেশি কথা বলার অনুশীলন করা।
-
এটাকে আমার কাছে সবচেয়ে ফালতু পরামর্শ মনে হয়। একটা লোক যখন ইংরেজি শেখার জন্যই অনুশীলন করতে চায় তখন সে কিভাবে ইংরেজিতে কথা বলা অনুশীলন করবে? সে তো ইংরেজি জানেই না। জানার জন্যই তো সে অনুশীলন করতে আগ্রহী। না জেনে সে কিভাবে অনুশীলন করবে? যদি ধরে নেয়া যায় যে, সে কিছুটা ইংরেজি জানে তবে সে ঐ কিছুটা ইংরেজি দিয়ে ভুল-ভাল অনুশীলন করে কতটুকু এগুতে পারবে? তাছাড়া তার কথা শোনার জন্যও তো একজন কার্যকর শ্রোতার দরকার। আমরা যেখানে শুধু বলতেই পছন্দ করি - শুনতে একদমই নয়- সেখানে শ্রোতা পাওয়াটাই দুষ্কর, তাই না? কম ইংরেজি জানা দুইজন কথক-এর ভুল-ভাল অনুশীলনকে আমার কাছে দুই তোতলা কামারের গল্পের মত মনে হয়। দুই তোতলা তোতলামি করতে করতেই তাদের লোহা ঠান্ডা হয়ে যায়। ফলে লোহা দিয়ে আর দা হয় না, লোহা লোহা-ই থেকে যায়। তেমনি সারাজীবন ভুল-ভাল লোকদের সাথে ভুল-ভাল ইংরেজি অনুশীলন করে ভুল-ভাল ইংরেজি-ই শেখা হয়; প্রাকৃতিক ইংরেজি নয়।
-
আবার কেউ কেউ পরামর্শ দেন – ইংরেজিতে কল্পনা করতে বা চিন্তা করতে। যেমন- আপনি ঘরে আছেন। ঘরের জিনিস পত্রগুলোকে কল্পনায় ইংরেজিতে নাম ধরে বলবেন। যেমন- ঠৈইবল, ফ্যান ইত্যাদি। বাইরে গেছেন.. চারপাশের বস্তুর দিকে তাকিয়ে ইংরেজিতে চিন্তা করুন। এটা একটা পরামর্শ বটে। কিন্তু এটারও কিছু সীমাবদ্ধতা থেকে যাচ্ছে। আপনি যে বস্তুটার ইংরেজি বলতে চাচ্ছেন সেটার ইংরেজি যদি আগে থেকে না জানেন তবে কিভাবে সেটার ইংরেজি বলবেন? কিংবা যদি সময়মত ইংরেজি শব্দটা মনে না আসে তখন কি করা যাবে? কিংবা যদি আপনি মনের মধ্যে কল্পনায় যে কথাটা বলতে চাচ্ছেন সেটার ইংরেজি বাক্য আপনার না জানা থাকে কিংবা জানা থাকলেও সময়মত মনে না আসে তবে কিভাবে অনুশীলন চালিয়ে যাবেন? দু:খজনক বিষয় হলো, শব্দ ও বাক্যগুলোকে সময়মত মনে আনার জন্যই তো আপনার অনুশীলন করা প্রয়োজন। আবার এদিকে অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে শব্দ/বাক্য কে মনে রাখতে হবে। বিষয়টা অনেকটা এরকম- ডিম আগে না মুরগী আগে?- প্রহসনের মত। এদিকে আমাদের দৈনন্দিন পরিবেশ, পরিস্থিতিরও কিন্তু সীমাবদ্ধতা আছে। ব্যক্তির পেশা ভেদে তার দৈনন্দিন পরিবেশ-পরিস্থিতিতেও কিন্তু খুব বেশি বৈচিত্র্য নেই। তার মানে কল্পনায় পাখা মেলে খুব বেশি দূর এগিয়ে অনুশীলন করাও সহজ নয়।
-
সত্যি বলতে, উপরের পরামর্শগুলো কোনোভাবেই ফেলনা নয়। এগুলো তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা মোটামুটি ইংরেজি জানে। জানা ইংরেজিকে ঝালিয়ে নেয়ার জন্য এ ধরনের অনুশীলন ভালো ফল দেয়। কিন্তু যারা মোটেই ইংরেজি জানে না তারা কিভাবে কথ্য ইংরেজি অনুশীলন করবে? এ বিষয়টা নিয়ে উচ্চবাচ্য করতে খুব বেশি একটা কাউকে দেখা যায় না। বেশিরভাগেরই পরামর্শ থাকে যারা ভালো জানে বা মোটামুটি জানে এমন লোকদের জন্য।
-
আশার বিষয় হলো, আমার এই লেখাটি একদম কিছুই জানেনা এমন ইংরেজি কথকের কথন অনুশীলন চালানোর কৌশল বাতলে দেয়ার জন্যই নিবেদিত। তো, চলুন শুরু করা যাক-
==============
বই কৌশল
============
বই পড়ে ইংরেজি কথন অনুশীলন করা যায় না – এই কথাটা আমি মেনে নেব না যতক্ষণ পর্যন্ত আমার হাতে থাকবে S M Zakir Hussain স্যারের বই। আমার এ কথার মানে ও ব্যাখ্যা আপনার নিজেকেই খুঁজে নিতে হবে। সেটাই বরং উত্তম হবে। আমি এখানে শুধুমাত্র বই ব্যবহার করে কিভাবে নিজে নিজে কথন চর্চা করবেন সে কৌশল নিয়ে আলোচনা করবো। আমি ধরে নিচ্ছি, আপনি ইংরেজির কিছুই জানেন না। না গ্রামার, না শব্দ।
-
কৌশল বর্ণনার জন্য আমি S M Zakir Hussain এর Natural Spoken English বইয়ের ৫নং পৃষ্ঠার ২নং ডায়ালগটি বেছে নিলাম। ডায়ালগটি নিম্নরূপ:
Shuman: Hey, Reaz! Are you going far?
(ওহে রিয়াজ! খুব দূরে কোথাও যাচ্ছ?)
Riaz: No. I’m just going to have a walk.
(না। এই একটু হাঁটতে  যাচ্ছি আরকি।)
Shuman: May/Can I come with you?
(আমি কি তোমার সাথে আসতে পারি?)
Riaz: Yes, you may/can come with me.
--
প্রথমে বাংলা অর্থসহ ডায়ালগটিকে একবার পড়ুন। ভুলেও বাংলা অর্থ মুখস্ত করবেন না। প্রতিটা বাক্যের পর বাংলা অর্থ একবার দেখে নেবেন বাক্যটি কোনো পরিস্থিতিকে নির্দেশ করছে সেটা অনুধাবন করা জন্য। এভাবে পুরো ডায়ালগটিকে বাংলা অর্থ সহ একবার পড়ুন। তারপর কয়েকবার (শুধুমাত্র ইংরেজি অংশ) পড়ুন যাতে এই ডায়ালগটিতে যে পরিস্থিতি বর্ণনা করা হয়েছে সেটা আপনার কল্পনায় চলে আসে। একটা কাজ করতে পারেন। ছোট ছোট বাক্যগুলিকে দুই/একবার করে দেখে মুখস্ত করে ফেলুন। মুখস্ত থাকলে আপনাকে আর বার বার বাক্যগুলোর দিকে নজর দিতে হবে না। এর একটা বড় উপকারিতা আছে। সেটা পরে বলছি।
-
এবার কল্পনায় আপনার একজন বন্ধুকে নিয়ে আসুন। কল্পনা করুন, আপনার বন্ধুটি হন্ত-দন্ত হয়ে কোথাও যাচ্ছে। রাস্তায় আপনার সাথে দেখা। আপনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন:
: Hey, বন্ধুর নাম! Are you going far?
--
এই একটা কথাই তাকে বার বার বলতে থাকুন। পরিস্থিতিটা থাকবে কল্পনায়, কিন্তু ডায়ালগটা উচ্চারণ করতে হবে বাস্তবে জোরে জোরে উচ্চারণ করে। অবশ্যই জোরে জোরে উচ্চারণ করবেন যেন আপনার কান সঠিকভাবে সেটা শুনতে পায়। এভাবে উচ্চারণ করার সময় কয়েকটা কাজ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে:
ক.
ইংরেজিতে লেখা বাক্যটি কোনোভাবেই মনের পর্দায় ভেসে যেন না ওঠে। বাক্যটি উচ্চারণ করলে যে শব্দ বা আওয়াজ এর সৃষ্টি হয় সেই আওয়াজটা কানের পর্দায় অনুরণিত হতে থাকবে। অর্থাৎ কানে থাকবে রিনিঝিনি আওয়াজ আর মনের পর্দায় থাকবে সামগ্রিক পরিস্থিতির ছায়া ছবি। সে জন্যই বাক্যটা প্রথমেই মুখস্ত করে নিলে বার বার লেখার দিকে তাকাতে হবে না। লেখার দিকে বার বার তাকালে সেই লেখাটা চোখের সামনে চলে আসবে। লেখা চোখের সামনে চলে আসলে সাবলীলতার পথে ভালো একটা বাধা হয়ে দাঁড়াবে। চোখের সামনে মনের পর্দায় থাকবে পরিস্থিতি আর কানের পর্দায় থাকবে সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি থেকে উদ্ভূত শব্দ/আওয়াজ। এ ক্ষেত্রে মনের পর্দায় থাকবে- আপনার বন্ধু কোথাও যাচ্ছে। পথে আপনার সাথে দেখা। এবং সে দূরে কোথাও যাচ্ছে কিনা সেটা আপনি জানতে চাচ্ছেন। ব্যাস! এ দৃশ্যকল্পটাই আপনার মনের পর্দায় থাকবে। তারপর নিজে মুখে জোরে জোরে বাক্যটা উচ্চারণ করবেন বার বার। উচ্চারণের ফলে সৃষ্ট আওয়াজ/শব্দ আপনার কানে মুহূরমুহু দোলা দেবে। আপনি যদি ধৈর্য ধরে এই নিয়মে চর্চা চালিয়ে যান তবে যখনই এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়বেন তখনই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুরো বাক্যটা আপনার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসবে। যেহেতু আগে থেকেই আপনি এ বাক্যটা নিজের কানে শুনে অভ্যস্ত সেহেতু তখন আর বাক্যটাকে নিজের কানে অপরিচিত মনে হবে না। এবং বাক্যটা ভুল বললেন নাকি শুদ্ধ বললেন এটা নিয়ে টেনশন হবে না। কারণ এটা যে শুদ্ধ বাক্য সেটাতো আপনি আগেই চর্চা করে নিজের কানকে অভ্যস্ত করে ফেলেছেন। আমরা যখন কোনো শব্দের বানান নিয়ে সন্দিহান হই তখন একটা কলম দিয়ে আলাদা একটা জায়গায় শব্দটা লিখে বোঝার চেষ্টা করি যে কোনো অস্বাভাবিকতা নজরে আসে কিনা। যদি চোখে অস্বাভাবিক  লাগে তবে বুঝতে পারি বানানে কোনো গন্ডগোল আছে। এভাবে শব্দকে আমরা লিখিত রূপে দেখে অভ্যস্ত। তাই দেখে ভুল-ক্রটি ধরার চেষ্টা করি। এটাকেই আমরা কাজে লাগাবো Speaking  এ বলে বলে। It’s that simple.
খ.
বাক্যের বাংলা অর্থটা মুখস্ত করা যাবে না। এবং ইংরেজি বাক্যটা মুখে বলার সময়/শোনার সময় বাংলা অর্থ মনে করার চেষ্টা করা যাবে না। আপনি মনে করবেন ’সামগ্রিক পরিস্থিতি’, বাংলা অর্থ নয়। প্রয়োজনে পুরো পরিস্থিতিটা বার বার মনের আয়নায় নিয়ে দেখতে থাকুন যেমনি ভাবে আমরা ছায়া ছবি দেখি।
-
প্রথম বাক্যটা বর্ণিত প্রক্রিয়ায় ধৈর্য ধরে চর্চা করার পর দ্বিতীয় বাক্যটা ধরুন। এই বাক্যটি হচ্ছে আপনার বন্ধুর ডায়ালগ। নিজেকে বন্ধুর জায়গায় স্থাপন করুন এবং বন্ধুর ডায়ালগটি আপনার মুখে উচ্চারণ করুন। এই বাক্যটাকেও একই ভাবে উপরের বর্ণনানুসারে চর্চা করতে থাকুন। বিষয়টা একক অভিনয়ের মত। আপনি একবার আপনার নিজের চরিত্রে এবং পরক্ষণেই আপনার বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করবেন।
-
এভাবে পুরো ডায়লগটিকে কয়েকবার চর্চা করলে ডায়ালগের পুরো পরিস্থিতি/দৃশ্যকল্প এবং তৎসংশ্লিষ্ট শব্দ এবং বাক্য আপনার আয়ত্বে চলে আসবে। এবার আপনার কন্ঠে পুরো ডায়ালগটাকে মোবাইলে রেকর্ড করুন। যেমনটা আমি আমার কন্ঠের কয়েকটি ডায়ালগ রেকর্ড গ্রুপে শেয়ার করেছিলাম। You might have noticed.
-
মনে রাখবেন, ছাড়া ছাড়া শব্দ, ছাড়া ছাড়া বাক্য আপনি খুব বেশিদিন মনে রাখতে পারবেন না। কিংবা চর্চার প্রয়োজনে হঠাৎ মনে নাও আসতে পারে। কিন্তু উপরের বর্ণনানুসারে যখন কোনো ডায়ালগ চর্চা করবেন তখন যেকোন জায়গায়, যেকোন মুহূর্তে ডায়ালগের দৃশ্যকল্পটি এবং এতে ব্যবহৃত শব্দ/বাক্য আপনার মাথায় চলে আসবে। ফলে যেখানেই থাকবেন হাটে-মাঠে-বাটে-ঘাটে সেখানেই চর্চা করতে পারবেন। যখনই সুযোগ পাবেন তখনই দৃশ্যটা মাথায় এনে মুখে উচ্চারণ করে চর্চা করুন অন্তত এক সপ্তাহ ধরে। মোবাইলের রেকর্ড চালিয়ে শুনুন সব সময়। শোনার সাথে সাথে দৃশ্যকল্প কল্পনা করুন। আপনার উচ্চারণ যদি যথাযথ হয় তবে Listening  এর কাজও হয়ে যাবে সাথে সাথে। যখন বুঝতে পারবেন ডায়ালগের পরিস্থিতিতে পড়লে সংশ্লিষ্ট শব্দ/বাক্য আপনি এখন থেকে সাবলীলভাবে ব্যবহার করতে পারবেন তখন বই থেকে আরেকটি ডায়ালগ আগের নিয়মে চর্চা চালিয়ে যান। এভাবে খুব বেশি না শুধুমাত্র Natural Spoken English বইটির বা লেখকের অন্য কোনো বই থেকে অন্তত একশটি ডায়ালগ অনুশীলন করুন। এই একশটি ডায়ালগ অনুশীলনের সময় নিজের ইচ্ছেমত নিজ থেকে বানিয়ে ভুল-ভাল ইংরেজি বলতে যাবেন না একদমই। শুধুমাত্র ডায়লগ-এ যা আছে তা-ই অনুশীলন করবেন। একটা সময় এসে দেখা যাবে যে দৈনন্দিন সাধারণ কাজে প্রয়োজন হয় এমন প্রায় সব পরিস্থিতি এবং শব্দ/বাক্য আপনার আয়ত্বে এসে যাবে। এবং এ যাবৎ শেখা শব্দ/বাক্য দিয়ে নতুন পরিস্থিতিতে নিজের মত বাক্য গঠন করার কিছু ক্ষমতাও অর্জন করে ফেলেছেন। আরো ধৈর্য ধরে যতি বেশি অনুশীলন চালিয়ে যাবেন তত বেশি িইংরেজি রপ্ত করতে থাকবেন, ইনশাআল্লাহ।
-
আপনি যদি চান অন্য কোনো সংগী নিয়ে অনুশীলন করতে তাও করতে পারেন। তবে চেষ্টা করবেন, এমন কারো সাথে অনুশীলন করতে যিনি আপনার চাইতে ভালো উচ্চারণ করতে পারে। যদি প্রাকৃতিক ইংরেজিতে তুখোড় হন তবে তাঁর সাথে সব ধরণের কথা বার্তা(আমাদের সুনির্দিষ্ট ডায়ালগসহ) বলে চর্চা করতে পারেন। কিন্তু যদি তিনি তা হন তবে ডায়ালগের বাইরে অন্যকোন বানানো ইংরেজিতে চর্চা করবেন না। তার সাথে শুধুমাত্র ডায়ালগ চর্চা করবেন, অন্য কিছু নয়। পদ্ধতি আগের মতই। ধরে নিবেন আপনারা দুই জন ডায়ালগটি অভিনয় করছেন। ঠিক যেভাবে পরিস্থিতি আছে ঠিক সেভাবে সব রেডি করে হুবহু অভিনয় করবেন। উল্টে-পাল্টে সব চরিত্রে দুই জনেই অভিনয় করবেন।
====================
সিডি/ডিভিডি সহ বই কৌশল
==================
Cambridge IELTS Practice Test, Collins IELTS Speaking বা এ জাতীয় কিছু বই আছে যেগুলোর সাথে সিডি/ডিভিডি থাকে। সিডি/ডিভিডি তে ডায়লগ রেকর্ড করা থাকে। আর বইয়ে ডায়ালগের মেনুস্ক্রিপ্ট দেয়া থাকে। উপরে যেভাবে আমি বললাম ঠিক সে প্রক্রিয়ায় এসব বই দিয়েও চর্চা করতে পারেন। তবে ডায়ালগকে উপরের উদাহরণের ডায়ালগের মত চার/পাঁচ টি বাক্যে ভাগ করে ছোট করে নেবেন এবং একই নিয়মে চর্চা করবেন। ছোট করে নিলে বাক্যগুলো মনে রাখতে ও অনুশীলন করতে সহজ হবে। একটা বাক্য শুনে সেটা পজ করে নিজে জোরে জোরে উচ্চারণ করবেন। শুনে বুঝতে অসুবিধা হলে বই এর manuscript দেখে নেবেন। এভাবে ছোট ছোট ডায়লগ সময় নিয়ে কিছু দিন চর্চা করবেন যত দিন না পর্যন্ত সেটা আত্মস্থ হয়। এসব বই থেকে শুনে শুনে চর্চা করলে Listening এও আয়ত্বে  এসে যাবে। তবে S M Zakir Hussain এর বই থেকে চর্চা করলে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো সেখানে ব্যাখ্যা করা আছে- কোন শব্দ/শব্দগুচ্ছ/বাক্য/ইক্সপ্রেসন কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এমনভাবে ব্যাখ্যা করা আছে যে, ডায়ালগ, ডায়ালগের শব্দ/বাক্য এসব আত্মস্থ হয়ে যাবে। ফলে নতুন নতুন পরিস্থিতিতেও সেগুলো ব্যবহার করার যোগ্যতা অর্জন করা যাবে।
==============
সিনেমা কৌশল
==================
একই নিয়মে ইংরেজি সিনেমার ডায়ালগ চর্চা করতে পারবেন। তবে ভুলেও পুরো সিনেমা একসাথে অনুশীলন করতে যাবে না। আগের মত দুই/চার/পাঁচ টা বাক্যের ছোট ছোট ডায়ালগ কেটে নেবেন। ভিডিও এডিটিং সফটওয়ার দিয়ে কেটে নিয়ে মোবাইলে ঢুকিয়ে নেবেন। তারপর একই নিয়মে চর্চা করবেন। শুনে বুঝতে না পারলে সাব টাইটেল দেখে নেবেন।েএকবার দেখে মুখে বার বার বলে নিজের কানকে শুনিয়ে নেবেন যাতে বার বার সাবটাইটেল দেখার প্রয়োজন না হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আপনাকে আর কষ্ট করে দৃশ্যকল্প বানাতে হবে না। সিনেমাতেই তৈরি করা দৃশ্যকল্প পেয়ে যাচ্ছেন। আপনার কাজ হবে চরিত্রগুলোর মধ্যে নিজেকে প্রবিষ্ট করিয়ে আগের মত কল্পনায় (তৈরি দৃশ্যে) অভিনয় করা। নিজেই একবার নায়ক, আবার নিজেই নায়িকা হবেন। ছায়া ছবিটা তৈরি করা থাকে বলে চর্চাটা সহজ ও কার্যকর হয়। মনেও থাকে বেশি দিন।
--
আমি এখানে তিনটা মাধ্যমে চর্চার বিষয় তুলে ধরেছি। আপনি একই সংগে তিন মাধ্যমে চর্চা করতে পারেন। প্রতিটাতেই কিছু সুবিধা রয়েছে।
--
এভাবে আপনি একদম শূন্য অবস্থান থেকেই নিজে নিজে কোনো সংগী ব্যতিরেকে ইংরেজি কথন অনুশীলন করতে পারবেন। এর সবচেয়ে বড় লাভ হলো আপনি যা শেখবেন তা হবে পুরোটাই Natural English । বিশেষ করে S M Zakir Hussain স্যারের বইগুলো থেকে যদি করেন তাহলে তো একশ পার্সেন্ট Natural English এর গ্যারান্টি পাবেন, ইনশাআল্লাহ। তবে সেটা আমার/অন্যদের মুখ থেকে শুনে বিশ্বাস না করে নিজে যাচাই করাটাই মঙ্গল। এ পদ্ধতিতে যেহেতু আপনি নিজের ইচ্ছামত বানানো (বাংলিশ)ইংরেজি চর্চা করবেন না সেহেতু ভুল ইংরেজি শেখার সম্ভাবনা একদমই নেই। কেননা আপনি কোনো না কোন বই/সিনেমা-র ডায়ালগ ব্যবহার করছেন। একটা প্রশ্ন নিশ্চয়ই আপনার মাথায় ঘুরছে। আপনি ভাবছেন ডায়ালগ চর্চা করলেতো শুধুমাত্র ডায়ালগের বাক্যগুলোই বলতে পারবেন। নতুন পরিস্থিতিতে কিভাবে নতুন বাক্য নিজ থেকে তৈরি করবেন? তাই তো? আপনি চর্চা করতে করতে যখন একটা ‍উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ডায়ালগ কার্যকরভাবে শেষ করতে পারবেন তখন আপনার অজান্তেই ঐসব ডায়ালগে ব্যবহৃত শব্দ/বাক্য/পরিস্থিতিরি উপর ভিত্তি করে আপনার নিজস্ব প্রকাশ গড়ে উঠবে এবং নতুন পরিস্থিতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নতুন নতুন বাক্য তৈরি হবে। তবে সেগুলোতে একটু-আধটু ব্যাকরণগত ভুল থাকতে পারে। তার জন্য কিছু প্রাথমিক ব্যাকরণ শিখে নিলে সে ভুলগুলিও কমে আসবে। তবে সেটা অনেক পরের বিষয়। বাচ্চারা তো এভাবেই শুনে শুনে প্রথমে শব্দ, তারপর বাক্য গঠন করতে শেখে। তারপর ঠেকে ঠেকে ভুল বাক্যগুলো ঠিক করে নেয়। তাই না?
-
পরিশেষে একটা পরামর্শ দিয়ে শেষ করছি… বই থেকে যখন চর্চা করবেন তখন যেকোনো একটা বই ধরে প্রথম থেকে শুরু করে প্রতিটা লাইন চর্চা করবেন। তাহলে আপনার ক্রমাগত উন্নতি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কারণ একজন সফল লেখক যখন একটা বই লেখেন তখন সেটাকে একটা পূর্ণঅঙ্গ কোর্স বলতে পারেন। একজন প্রশিক্ষণার্থীকে সহজ থেকে ধাপে ধাপে কঠিনের দিকে তিনি সফল ভাবে চালনা করেন। এবং এক পর্যায়ে একটা সুনির্দিষ্ট সফলতার গাড়ির মধ্যে প্রশিক্ষণার্থীকে তুলে দেন। একদম নতুন শিক্ষার্থীকে আমি পরামর্শ দেব Natural Spoken English- S M Zakir Hussain এই বইটা দিয়ে চর্চা শুরু করতে।
--
পরিশেষে আরো একটা পরামর্শ দিয়ে শেষ করছি…. আমি এখানে যে কথন অনুশীলন কৌশল বর্ণনা করলাম সেটা শুরু করা আগে Effective Listening and Smooth Pronunciation – S M Zakir Hussain এই বইটাকে সফলভাবে ব্যবহার করে আপনার নিজের উচ্চারণ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ঠিক করে নিলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন। দুইটা কথা মনে রাখবেন – যথাযথ পদ্ধতিতে (ইংরেজদের পদ্ধতিতে) ইংরেজি বলার সাথে সাবলীলতা জড়িত এবং Listening ও Speaking দুইটা আলাদা নয়, বরং পরস্পরের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।

Comments

Popular Posts